আলিবাবা থেকে পণ্য সোর্সিং
আলিবাবা থেকে পণ্য সোর্সিং
আলিবাবা থেকে পণ্য সোর্সিংয়ের মাধ্যমে একদম সহজ । আপনারা যে কেউ চাইলে কিন্তু আলিবাবা থেকে প্রোডাক্ট সোর্সিং করতে পারেন । এখানে বিশ্বের প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশের লক্ষ লক্ষ সাপ্লায়ার রয়েছে । যারা এখানে লক্ষ লক্ষ প্রোডাক্ট সেল করে থাকেন । এখান থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করতে আপনি ওয়েবসাইটকে কোন প্রকার টাকা পয়সা দিতে হবে না । এখানে একটি একাউন্ট করে সাপ্লায়ারের সাথে কথাবার্তা শুরু করতে পারবেন। প্রথমে আপনার কাজ হল alibaba.com নামে যে অ্যাপসটা রয়েছে সেই অ্যাপসটা আপনি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিবেন । এরপরে অ্যাপস এ প্রবেশ করলে ক্রিয়েট নিউ একাউন্ট নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন । সেখান একটা নতুন অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন । ওপেন করে আপনার কাঙ্খিত যে প্রোডাক্টটি রয়েছে সেটি আপনি সার্চিং করবেন । প্রাক্টিটি পাওয়ার পরে সেখানে দেখবেন যে কন্ট্যাক্ট সাপ্লাইইয়ার নামে একটা অপশন আছে । সেখানে আপনি সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলবেন। এটা সাধারণত আমরা যে ফেসবুকে মেসেঞ্জারে কথাবার্তা বলি ঠিক সেই রকমই । আপনি তাদের সাথে মেসেঞ্জারে কথা বলতে পারবেন । আবার আপনি তাদেরকে ভয়েস কল দিতে পারবেন । ভিডিও কলে কল দেওয়ার অপশন সেখানে রয়েছে। মেসেঞ্জারে কথাবার্তা বলে আপনি ঠিক করে নিবেন যে প্রোডাক্টের একচুয়াল ভ্যালুটা কত অর্থাৎ অরিজিনাল দাম টা কত। তারা কত দামে প্রোডাক্ট সেল করে থাকে । সর্বনিম্ন পরিমাণ কত পরিমাণ নিতে হবে ।

এরপর আপনি প্রোডাক্ট কিভাবে বাংলাদেশ নিয়ে আসবেন সেটার ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলবেন । কারন আপনি চাইলে এলসি বা টিটী করে পণ্য নিয়ে আসতে পারেন । সেটা জাহাজে বা এয়ারে নিয়ে আসতে পারেন ।

অথবা আপনি ডোর টু ডোর সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করতে পারেন। এরপরে হচ্ছে পেমেন্টের ব্যাপার । পেমেন্টের ক্ষেত্রে আপনি তাদের সাথে কথা বলে নিতে হবে । কারণ হচ্ছে পেমেন্টটা বিভিন্নভাবে করতে পারেন। আপনি চাইলে টিটির মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এলসির মাধ্যমেও পেমেন্ট করতে পারবেন অথবা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে পেমেন্ট করতে পারবেন ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে । এলসির মাধ্যমে সাপ্লায়ার কে পেমেন্ট করতে হলে অবশ্যই আপনার আমদানি লাইসেন্স থাকতে হবে এবং আপনার টিন ভ্যাট থাকতে হবে।

আলিবাবাতে সাপ্লাইয়ার নির্ধারণের ক্ষেত্রে আপনার একটা বিষয় খুব খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে গোল্ড সাপ্লায়ার । অবশ্যই যাদের গোল্ড সাপ্লায়ার ব্যাজ আছে তাদের থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করবেন । চেষ্টা করবেন যেন গোল্ড সাপ্লাইয়ার্স এইজ যেন দুই থেকে তিন বছরের বড় হয়।

আলিবাবাতে কয়েক ভাবে টাকা পেমেন্ট করা যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে আপনি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট কার্ডে পেমেন্ট করতে পারবেন, এছাড়া এলসি টিটি করেও পেমেন্ট করা যাবে। তবে অনেক সাপ্লাইয়ার আপনার কাছ থেকে পেমেন্ট বাবদ বিটকয়েন খুজবে বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের কথা বলবে। এগুলা করতে যাবেন না । কারণ হচ্ছে এভাবে পেমেন্ট করলে প্রোডাক্ট না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । আপনি যদি এলসি বা টিটির মাধ্যমে পেমেন্ট করেন সেক্ষেত্রে আপনার একটা ডকুমেন্ট থাকবে যে আপনি পেমেন্ট করেছেন যদি এগুলোর বাহিরে পেমেন্ট করেন আপনার পেমেন্টের কোন ডকুমেন্টস থাকলো না।

সাপ্লায়ার কে বলতে হবে আপনি আলিবাবার পেমেন্ট করবেন ট্রেড অ্যাসিউরেন্সের মাধ্যমে । সে একটা ট্রেড অ্যাসিউরেন্স পেমেন্ট লিঙ্ক দিবে। সেই পেমেন্ট লিংকে গেলেই আপনি আপনার আন্তর্জাতিক পেমেন্ট কার্ডে পেমেন্ট করতে পারবেন ।

আপনি চাইলে আলিবাবা থেকে এলসি বা টিটী করে জাহাজে বা এয়ারে নিয়ে আসতে পারেন । অথবা আপনি ডোর টু ডোর সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করতে পারেন। ডোর টু ডোর সার্ভিস মানে আপনি পণ্যটা চায়নাতে কোন এক ডোর টু ডোর সার্ভিস প্রদান কারি ওয়্যার হাউজে পাঠিয়ে দিবেন। সাপ্লায়ারকে পেমেন্ট দেয়ার পর তাকে বলতে হবে সে যেন পণ্যটি আপনার ডোর টু ডোর সার্ভিস প্রদান কারি এজেন্টের ওয়্যার হাউজে পাঠিয়ে দেয়। ডোর টু ডোর সার্ভিস প্রদান কারি এজেন্ট আপনাকে কেজি হিসাবে রেট দিবে। পণ্য বাংলাদেশে আসলে আপনাকে তারা কল করে পণ্য পৌঁচে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *