মার্কেট রিসার্চ করার প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে আপনি পণ্যটা পাইকারি বিক্রি করবেন নাকি খুচরা বিক্রি করবেন । আপনি যদি প্রোডাক্ট বাংলাদেশে আমদানি করে পাইকারি বিক্রি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশি পরিমাণে আমদানি করতে হবে এবং যদি খুচরা বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অল্প পরিমাণে আমদানি করলেও চলবে । কারণ হচ্ছে পাইকারি বিক্রি করলে আপনি সেখান থেকে লাভ খুব কম করবেন আর যদি খুচরা বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে আপনার লাভ হবে বেশী।
এর পর দেখতে হবে এই পণ্য চকবাজার বা খাতুনগঞ্জের পাইকারি বিক্রেতারা আমদানি করেন কিনা । এই বিষয়টা আপনাকে খুব গুরত্ত নিয়ে দেখতে হবে কারণ হচ্ছে এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা খুব বেশি পরিমাণে আমদানি করে । যেমন ধরুন খাতুনগঞ্জের কোন একজন ব্যবসায়ী যে কোন পণ্য মিনিমাম ৫-১০ কনটেইনার আমদানি করে থাকেন। আমরা যদি চিন্তা করি যে আমরা সেই পণ্য অল্প আকারে নিয়ে আসবো
সে ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারব না । কারন ৫ কন্টাইনার হবার কারনে তাদের ক্রয় খরচ, কাস্টমস খরচ সবকিছু কম হবে । সুতরাং আমরা যদি কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে দেখতে হবে যে চকবাজারে আমদানিকারকরা বা খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকরা যদি সে পণ্য আমদানি করে থাকে তাহলে আমাদের অন্য কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে হবে ।
যে কোন পণ্য ইমপোর্ট করতে গেলে আপনাকে দেখতে হবে যে সেই পণ্যটির বন্ড সুবিধা রয়েছে কিনা । বন্ড সুবিধা হলো বাংলাদেশের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য ১০০ শতাংশ রপ্তানি করে তাদেরকে সরকার এক ধরনের সুবিধা দেয় যে তারা সেই সুবিধার মাধ্যমে প্রোডাক্ট ইমপোর্ট করে থাকে তাদের থেকে সরকার কোন ট্যাক্স নিবেনা। যেমন ধরুন কাপড় । বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানি বন্ড সুভিধা নিয়ে আমদানি করে থাকে এবং সেগুলো বিভিন্ন খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকে । যেমন ইসলামপুর পাইকারি মার্কেট হয়েছে সেখানে তারা বিক্রি করে দেয়। তো আপনি যদি এই গার্মেন্টস প্রোডাক্ট ১০০% ট্যাক্স সুবিধা দিয়ে নিয়ে আসেন সে ক্ষেত্রে মার্কেটে কম্পিটিশন করাটা অনেক ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে অথবা সম্ভব হবেনা।
এরপর আপনাকে দেখতে হবে আপনার বাছাই করা পণ্যটি ইন্ডিয়া থেকে আমদানি করা হয় কিনা । যদি ইন্ডিয়া থেকে পণ্যটি আমদানি করা হয় সেক্ষেত্রে আপনি লিগ্যাল ভাবে প্রডাক্ট আমদানি করার ব্যাপারে অনেক সতর্ক হতে হবে । কারণ হচ্ছে ইন্ডিয়া থেকে যে সমস্ত প্রোডাক্ট আনা হয় অধিকাংশ প্রোডাক্ট গুলি করে মানুষন ব্যাগেজে করে নিয়ে আসে অথবা অবৈধ উপায়ে মানুষ নিয়ে আসে ।
আপনি যদি চান যে একই প্রোডাক্ট আপনি ১০০ট্যাক্স দিয়ে নিয়ে আসবেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অনেক টাকা ট্যাক্স দিতে হবে এবং ব্যবসা করাটা কঠিন হয়ে পড়বে। যেমন ধরুন ইন্ডিয়া থ্রি পিস নিয়ে আসবেন । থ্রি পিসের ট্যাক্স ১৩৩%। এখন আপনি ১০০০ টাকার একটা প্রোডাক্ট নিয়ে আসলে সেখানে তেরোশো-চৌদ্দশ টাকা ট্যাক্স চলে আসবে। এই থ্রি পিস যারা অবৈধ পথে নিয়ে আসে তাদের সাথে আপনি কম্পিটিশনে পারবে না কারণ তারা সেই তেরোশো টাকা ট্যাক্স এর কিচুই দেয় না।
কোন প্রোডাক্ট আমদানির ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে সেই প্রোডাক্ট টা ডোর টু ডোর আমদানি হয় কিনা । যদি ডোর টু ডোর আমদানি করা হয় তাহলে অবশ্যই সেই প্রোডাক্ট আপনাকেও ডোর টু ডোর আমদানি করে বিজনেস করতে হবে । যেমন ধরুন অনেকে মোবাইলের অ্যাক্সেসরিজ বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস আইটেম বিভিন্ন ধরনের জুতা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে । ওরা এসব পণ্য বাংলাদেশ নিয়ে আসবে কেজি হিসাব করে ৬০০-১০০০ টাকা কেজি হিসাবে। এখন আপনি যদি একই প্রোডাক্ট বৈধ ভাবে আমদানি করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ট্যাক্স অনেক বেশি পড়বে ।
ধরুন আপনি দুইটা টি-শার্ট নিয়ে আসলেন । টি-শার্টের ওজন হাফ কেজি হল। এ ক্ষেত্রে কাস্টমস আপনাকে মিনিমাম ২০ ডলার ভ্যালু ধরে ১৩৩% ট্যাক্স ধরবে। আপনার দুইটা টিশার্টের ট্যাক্স আসবে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা । কিন্তু সেটা যদি আপনি ডোর টু ডোর সার্ভিসে নিয়ে আসেন তবে আপনার খরচ হবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। সুতরাং আপনার খরচটা অনেক কম আসতেছে এরপরে অনেক লিগেল প্রসিডিউর থাকে যেগুলো ডোর টু ডোর আমদানি করার ক্ষেত্রে কোন প্রসিডিউর মেইনটেইন করতে হয় না । যেমন ধরুন আপনি যদি কসমেটিকস আইটেম আমদানি করবেন। সেক্ষেত্রে আমদানি করতে বিস এস টি আই লাইসেন্স লাগবে। কিন্তু ডোর টু ডোর আমদানি করলে সেটা লাগবেনা।
এরপর আপনাকে হিসাব করতে হবে যে আপনার এই প্রোডাক্ট টা বিক্রি করে কি পরিমান লাভ হবে । যদি লাভ আপনার কম হয় সেক্ষেত্রে আপনার ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে । যেমন ধরুন প্লাস্টিক দানা যদি আপনি প্রায় ১ কোটি টাকা এখানে ইনভেস্ট করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ হতে পারে এক মাসের মধ্যে । আবার ধরুন এমন প্রোডাক্ট আছে যেটা আপনি ১ কোটি টাকার আমদানি করেন সেক্ষেত্রে আপনার প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত লাভ করতে পারবেন। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই পণ্য রিসার্চ করার সময় দেখতে হবে কি পরিমাণ লাভ হবে।
এর পর দেখতে হবে এই পণ্য চকবাজার বা খাতুনগঞ্জের পাইকারি বিক্রেতারা আমদানি করেন কিনা । এই বিষয়টা আপনাকে খুব গুরত্ত নিয়ে দেখতে হবে কারণ হচ্ছে এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা খুব বেশি পরিমাণে আমদানি করে । যেমন ধরুন খাতুনগঞ্জের কোন একজন ব্যবসায়ী যে কোন পণ্য মিনিমাম ৫-১০ কনটেইনার আমদানি করে থাকেন। আমরা যদি চিন্তা করি যে আমরা সেই পণ্য অল্প আকারে নিয়ে আসবো
সে ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারব না । কারন ৫ কন্টাইনার হবার কারনে তাদের ক্রয় খরচ, কাস্টমস খরচ সবকিছু কম হবে । সুতরাং আমরা যদি কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে দেখতে হবে যে চকবাজারে আমদানিকারকরা বা খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকরা যদি সে পণ্য আমদানি করে থাকে তাহলে আমাদের অন্য কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে হবে ।
যে কোন পণ্য ইমপোর্ট করতে গেলে আপনাকে দেখতে হবে যে সেই পণ্যটির বন্ড সুবিধা রয়েছে কিনা । বন্ড সুবিধা হলো বাংলাদেশের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য ১০০ শতাংশ রপ্তানি করে তাদেরকে সরকার এক ধরনের সুবিধা দেয় যে তারা সেই সুবিধার মাধ্যমে প্রোডাক্ট ইমপোর্ট করে থাকে তাদের থেকে সরকার কোন ট্যাক্স নিবেনা। যেমন ধরুন কাপড় । বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানি বন্ড সুভিধা নিয়ে আমদানি করে থাকে এবং সেগুলো বিভিন্ন খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকে । যেমন ইসলামপুর পাইকারি মার্কেট হয়েছে সেখানে তারা বিক্রি করে দেয়। তো আপনি যদি এই গার্মেন্টস প্রোডাক্ট ১০০% ট্যাক্স সুবিধা দিয়ে নিয়ে আসেন সে ক্ষেত্রে মার্কেটে কম্পিটিশন করাটা অনেক ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে অথবা সম্ভব হবেনা।
এরপর আপনাকে দেখতে হবে আপনার বাছাই করা পণ্যটি ইন্ডিয়া থেকে আমদানি করা হয় কিনা । যদি ইন্ডিয়া থেকে পণ্যটি আমদানি করা হয় সেক্ষেত্রে আপনি লিগ্যাল ভাবে প্রডাক্ট আমদানি করার ব্যাপারে অনেক সতর্ক হতে হবে । কারণ হচ্ছে ইন্ডিয়া থেকে যে সমস্ত প্রোডাক্ট আনা হয় অধিকাংশ প্রোডাক্ট গুলি করে মানুষন ব্যাগেজে করে নিয়ে আসে অথবা অবৈধ উপায়ে মানুষ নিয়ে আসে ।
আপনি যদি চান যে একই প্রোডাক্ট আপনি ১০০ট্যাক্স দিয়ে নিয়ে আসবেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অনেক টাকা ট্যাক্স দিতে হবে এবং ব্যবসা করাটা কঠিন হয়ে পড়বে। যেমন ধরুন ইন্ডিয়া থ্রি পিস নিয়ে আসবেন । থ্রি পিসের ট্যাক্স ১৩৩%। এখন আপনি ১০০০ টাকার একটা প্রোডাক্ট নিয়ে আসলে সেখানে তেরোশো-চৌদ্দশ টাকা ট্যাক্স চলে আসবে। এই থ্রি পিস যারা অবৈধ পথে নিয়ে আসে তাদের সাথে আপনি কম্পিটিশনে পারবে না কারণ তারা সেই তেরোশো টাকা ট্যাক্স এর কিচুই দেয় না।
কোন প্রোডাক্ট আমদানির ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে সেই প্রোডাক্ট টা ডোর টু ডোর আমদানি হয় কিনা । যদি ডোর টু ডোর আমদানি করা হয় তাহলে অবশ্যই সেই প্রোডাক্ট আপনাকেও ডোর টু ডোর আমদানি করে বিজনেস করতে হবে । যেমন ধরুন অনেকে মোবাইলের অ্যাক্সেসরিজ বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস আইটেম বিভিন্ন ধরনের জুতা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে । ওরা এসব পণ্য বাংলাদেশ নিয়ে আসবে কেজি হিসাব করে ৬০০-১০০০ টাকা কেজি হিসাবে। এখন আপনি যদি একই প্রোডাক্ট বৈধ ভাবে আমদানি করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ট্যাক্স অনেক বেশি পড়বে ।
ধরুন আপনি দুইটা টি-শার্ট নিয়ে আসলেন । টি-শার্টের ওজন হাফ কেজি হল। এ ক্ষেত্রে কাস্টমস আপনাকে মিনিমাম ২০ ডলার ভ্যালু ধরে ১৩৩% ট্যাক্স ধরবে। আপনার দুইটা টিশার্টের ট্যাক্স আসবে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা । কিন্তু সেটা যদি আপনি ডোর টু ডোর সার্ভিসে নিয়ে আসেন তবে আপনার খরচ হবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। সুতরাং আপনার খরচটা অনেক কম আসতেছে এরপরে অনেক লিগেল প্রসিডিউর থাকে যেগুলো ডোর টু ডোর আমদানি করার ক্ষেত্রে কোন প্রসিডিউর মেইনটেইন করতে হয় না । যেমন ধরুন আপনি যদি কসমেটিকস আইটেম আমদানি করবেন। সেক্ষেত্রে আমদানি করতে বিস এস টি আই লাইসেন্স লাগবে। কিন্তু ডোর টু ডোর আমদানি করলে সেটা লাগবেনা।
এরপর আপনাকে হিসাব করতে হবে যে আপনার এই প্রোডাক্ট টা বিক্রি করে কি পরিমান লাভ হবে । যদি লাভ আপনার কম হয় সেক্ষেত্রে আপনার ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে । যেমন ধরুন প্লাস্টিক দানা যদি আপনি প্রায় ১ কোটি টাকা এখানে ইনভেস্ট করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ হতে পারে এক মাসের মধ্যে । আবার ধরুন এমন প্রোডাক্ট আছে যেটা আপনি ১ কোটি টাকার আমদানি করেন সেক্ষেত্রে আপনার প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত লাভ করতে পারবেন। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই পণ্য রিসার্চ করার সময় দেখতে হবে কি পরিমাণ লাভ হবে।