IGM আসলে বিভিন্ন কাজে লাগে। IGM হচ্ছে ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফিস্ট শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। এখানে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ থাকে ।
IGM পণ্যের ভ্যালু উল্লেখ থাকে , পণ্যের ওয়েট উল্লেখ থাকে এবং আপনার পণ্য কবে শিপমেন্ট হয়েছে কবে বাংলাদেশে আসতে পারে বা কবে আসছে এবং পণ্যের ডেস্ক্রিপশন এই গুলো উল্লেখ থাকে।
আইজিএম কাজে লাগে আপনার পেপারটি যখন কাস্টম এন্ট্রি হবে তখন । এই IGM টা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে IGM এ যে ভ্যালু টা থাকে সেই ভ্যালুটা অবশ্যই আপনার ডকুমেন্টস এ থাকতে হবে যদি এটা না থাকে তাহলেই কারেকশন করতে হবে আবার ধরুন আই জী এমে যে ওয়েট আছে সেটা যদি ডকুমেন্টে না থাকে তাহলে ওয়েট কারেকশন করতে হবে বা আপনার সিপারের নাম যদি সেম না থাকে তখন কিন্তু আই জী এম কারেকশন করা লাগে।
IGM ইস্যু করে থাকে যারা প্রোডাক্টটা শিপমেন্ট করে তারাই । যেমন ধরুন DHL এর মাধ্যমে আপনি কোন পণ্য নিয়ে আসলেন।
তারা IGM টা ইস্যু করে। কিন্তু তারা IGM ইস্যু করার সময় প্রচুর ভুল করে থাকে ।সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে গিয়ে আমাদের যারা ইমপোর্টার আছেন তারা প্রচুর বিপদের সম্মুখীন হন । IGM কারেকশন অনেক বিশাল একটা লম্বা প্রসিডিউর এবং ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। নরমাল একটা আইজিএম যদি ধরুন কোথাও ১০০ গ্রাম লেখা রয়েছে কিন্তু আপনার ডকুমেন্টস এক কেজি বা দুই কেজি , সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ চলে যাবে । চিন্তা কারেকশন করতে অনেক সময় লাগবে। মিনিমাম ১০ থেকে ২০ দিন সময় লেগে যাবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কুরিয়ার কোম্পানি গুলো একবার IGM ইস্যু করলে সে IGM তারা এডিট করতে পারেনা। অর্থাৎ যদি কোনো পরিবর্তন লাগে সেটা তারা করতে পারে না সেটা কাস্টমস এর মাধ্যমে পরিবর্তন করা লাগে । কারণ এই ধরনের পরিবর্তন যদি কুরিয়ার কোম্পানি করতে পারে সেক্ষেত্রে কিন্তু অনেক অবৈধ পণ্য নিয়ে আসার সুযোগ থাকবে। সেজন্য সরকার এই কুরিয়ার কোম্পানিকে IGM কারেকশন টা বন্ধ করে দিয়েছে।